সাংবাদিকতায় কেন এলাম ভবিষ্যৎ কোথায় দাঁড়াবে এই পেশা। নিতে নয় দিতে আসতে গিয়ে থমকে গেলাম জীবনের মূল্যবান সময়গুলো একমাত্র জনগণের দিকে তাকিয়ে।
সাহসী ও পেশাগত অভিজ্ঞতা ছাড়া সাংবাদিক হিসেবে কাজ করা খুবেই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। বর্তমান বিশ্বের সাথে তালমিলীয়ে এই সাংবাদিকতার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।অপরদিকে এই পেশায় যুক্ত হয়েছে অবমূল্যায়নের নানান পথ।
৯০ দশকের পর থেকে ধীরে ধীরে এই পেশার মান ক্ষুণ্ণ হতে শুরু করে বর্তমান এর বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। সাংবাদিক নাম শুনলেই একটু ভিন্ন নজরে তাকায় সবাই।
একজন সাংবাদিক সম্পর্কে বর্তমানে সাধারণ ধারণা। তাহলে মা বাবা আর বাড়ির মানুষের কাছে ছেলে অনেক বড় সাংবাদিক বড় প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে,অনেক টাকা বেতন পায়।
এলাকার মানুষের কাছে সাংবাদিক থানায় দালালি করে,ওকে দেখলেই মানুষ ভয়ে টাকা দেয়। বিভিন্ন জায়গার টাকার ভাগ পায়, দুর্নীতিবাজরা টাকা দিয়ে ওদের কিনে নেয়। পড়ুন>>নিজের খেয়ে বনের মহিষ তাড়ানোই যেন মফস্বল সাংবাদিকদের মহৎ কাজ
অনেকেই ভাবে এ পেশা ব্যাপক আয়। রাজনৈতিক নেতাদের কাছে অনেক সাংবাদিক ২শ ৫শ টাকা দিলেই নিউজ কাভারেজ দেয়।
এনজিও কর্মীদের কাছে সাংবাদিকদের মাঝে মাঝে ডেকে এনে দুপুরে এক প্যাকেট বিরিয়ানি আর ৩”শ টাকার একটা হলুদ খাম ধরিয়ে দিলেই নিউজ কভারেজ পাওয়া যায়।
টাকা নিয়ে শুধু মিথ্যা কথা লিখে।অথচ একজন সাংবাদিকের দুই একজন ছাড়া প্রকৃত আয় কত তা যদি সবাই জানত তাহলে এসব ভাবত না।সাংবাদিকের বেতন কত?
এই কথাটা লজ্জায় কখনো কারো সাথে প্রকাশ করতে পারে না। আর পাঁচটা পেশার মত এই পেশায় কোনো ভবিষ্যৎ নেই। তারপরও যারা এই পেশায় কাজ করেন তারা শুধু দেশ ও দেশের মানুষের জন্য ভালো কিছু করার চিন্তায়।
তারা দিতে আসে নিতে নয়,শুধু লেখার নেশায় এই পেশায় থেকে যায়, নিজের বা পরিবারের ভবিষ্যতের কথা ভুলে এই সাংবাদিকরাই সত্যের পথে থেকে দেশ ও সাধারন মানুষের সুখ দুঃখ প্রকাশ করে ভবিষ্যতের জন্য কাজ করে।
বিনিময়ে তাদের জন্য দেশ ও জাতির দেওয়া সাংবাদিক উপাধি একমাত্র সম্বল হয়ে দাঁড়িয়। এই লেখা ও মন্তব্য সম্পুর্ন নিজস্ব ও ব্যক্তিগত কাউকে ছোটো ও মানহানীর জন্য নয়।
Leave a Reply