বাগমারায় বিভিন্ন বিলে তিন-ফসলি জমিতে রাতদিন চলছে পুকুর খননের হিড়িক
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলাজুড়ে বিভিন্ন বিলে তিন ফসলি জমিতে রাতদিন চলছে পুকুর খননের হিড়িক। অনেক জমির মালিকে না বলে জোর পুর্বক অবৈধ ভাবে রাতদিন পুকুর খননের হিড়িক পড়ে গেছে। আবাদি জমি গুলোতে অবৈধ ভাবে পুকুর খনন অব্যাহত। এতে কৃষি জমির পরিমান কমে যাচ্ছে এবং চাষাবাদ হুমকীর মুখে পড়ছে।
কয়েক ঘন্টা বন্ধ রেখে আবারো শুরু করা হয় অবৈধ পুকুর খননের কাজ। এতে বর্ষা মওসুমে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে পড়বে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এলাকার শত শত বিঘা ফসলি জমি অনাবাদি এবং পাড়া-মহল্লার বাড়ি-ঘর পানিতে ডুবে থাকবে। জলাবদ্ধতার তৈরি হবে কৃত্রিম বন্যা।
অপরদিকে, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ রয়েছে জমির প্রকৃতি (শ্রেণী) পরিবর্তন করা যাবে না। কিন্তু অবৈধ পুকুর খননকারীরা আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে ফসলি জমিতে চালিয়ে যাচ্ছে হরদম পুকুর খনন।
এ ব্যাপারে ড্রেজারের ড্রাইভাররা বলেন, আমাদেরকে পুকুর খননকারীরা ঘন্টা প্রতি মাটি খননের জন্য ভাড়া করে নিয়ে এসেছে। তাই আমরা রাত দিন চব্বিশ ঘন্ট মাটি খনন করি এবং ড্রেজার গুলো এখনো চলছে তাহলে আমাদের কি অপরাধ আমরাতো ভাড়ায় কাজকরি।
স্থানীয় কৃষকরা বলেন, এভাবে অবৈধ পুকুর খনন চলতে থাকলে আমাদের এলাকার কৃষকেরা ও গবাদী পশুর খাদ্যের সংকট দেখা দেবে। এই তিন ফসলি জমি অবৈধ ভাবে পুকুর খনন কারীদের বিরুদ্ধে আমরা রাজশাহী জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার,বিভাগীয় কমিশনার,বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সহকারি (ভুমি) কমিশনার বরাবর দরখাস্ত করেছি তাতেও কোনো কাজ হচ্ছে না।
কৃষকদের অভিযোগ প্রভাবশালীদের হাত থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ও ফসলি জমিতে নিয়মবর্হিভূত অপরিকল্পিত পুকুর খনন বন্ধের জন্য ভুক্তভোগীরা একাধিকবার স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।
এবিষয়ে বাগমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার উজ্জল হোসেন বলেন, পুকুর খনন বন্ধের জন্য খুব দ্রুত খননকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply