চরিত্রহীন প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুকের অপসারণের দাবিতে ডোমারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন এলাকাবাসী।

ডোমারে চরিত্রহীন লম্পট প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুকের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে অভিভাবক সহ এলাকাবাসী।

সম্প্রতি ওই প্রধান শিক্ষকের সহিত একই প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষিকার অনৈতিক কার্যকলাপের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দির ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হলে ফুসিয়ে উঠে অভিভাবকসহ এলাকাবাসী।

এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার ১৯ অক্টোবর সকাল ১১ ঘটিকায় ডোমার বাজারস্ত বাটার মোড়ে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এই সময় উক্ত মানববন্ধনে সহকারী শিক্ষিকার স্বামী অভিভাবকদের মানববন্ধনে একাত্মতা ঘোষণা করায় মানববন্ধনটি ভিন্ন মাত্রা পায়।

উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত একাধিক অভিভাবকরা প্রতিনিধিকে বলেন, গত ০৩ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ডোমার সরলা বালিকা বিদ্যা নিকেতনের চরিত্রহীন লম্পট প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুকের পরকীয়া প্রেমে ধরা পড়ে। এলাকাবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে তার কূকর্মের সত্যতা স্বীকার পূর্বক ক্ষমা প্রার্থনার জবানবন্দির ভিডিও ফাঁস হয়।

ভিডিওতে বিদ্যালয়ের চরিত্রহীন লম্পট প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুকসহ একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা (ছদ্মনাম এস) ডোমার রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকার শিক্ষিকার বাড়িতে গত ০১ আগষ্ট রাত্রি সাড়ে এগারোটা প্রবেশ করেন।

পরে ০২ আগষ্ট  রাত্রিযাপন শেষে ভোররাত্রী ৩টা ৫৮ মিনিটে বেরিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়েন। এরপর প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক ঘটনার সত্যতা স্বীকার পূর্বক ক্ষমা চান। তার ক্ষমা চাওয়ার চাওয়ার জবানবন্দির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকের মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।

এমন দুশ্চরিত্র লম্পট প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষিকা প্রতিষ্ঠানে থাকলে আমাদের বাচ্চারা তাদের কাছ থেকে কি শিক্ষা গ্রহণ করবে। আর তারাই বা আমাদের বাচ্চাদের কি শিক্ষা দেবে? এটা আমরা ভেবে পাচ্ছি না।

এর পাশাপাশি আমরা আমাদের বাচ্চাদের নিয়ে প্রতি মূহুর্তের জন্য দুশ্চিন্তাসহ হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছি। রক্ষক যদি ভক্ষক হয় তাহলে ফলাফল কি হবে?

তাই আমাদের একটাই দাবি অবিলম্বে দুশ্চরিত্র লম্পট প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষিকাকে অপসারণ করে আমাদের কোমলমতি শিশুদের জীবন রক্ষাসহ বিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পড়াশোনার পরিবেশ ফিরিয়ে এনে আমাদের ভবিষ্যতে প্রজন্মকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে শিক্ষামন্ত্রীসহ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

তারা আরও বলেন, যদি এর পরেও কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে আমরা আমাদের বাচ্চাদেরকে ঐ বিদ্যালয় থেকে বের করে আনবো এবং কঠোর কর্মসূচী গ্রহন করবো।

মানববন্ধন কর্মসূচি পালন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নাজমুল আলম বিপিএএ বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন অভিভাবকসহ এলাকাবাসী।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলম (বিপিএএ) জানান, অভিযোগ পেয়েছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।