নীলফামারীর ডোমার পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি পাপন নারী কেলেংকারীর দায়ে কারাগারে।
স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে ডোমার পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি নারী কেলেংকারী অভিজিৎ সর্বঞ্জ পাপন (৩০) এর বাড়িতে অবস্থান নেয়া ওই নারীর করা অভিযোগের ভিত্তিতে পাপনকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করেছেন বিজ্ঞ আদালত।
গতকাল শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত পাপনের বাসায় অবস্থান করছিল ওই নারী। এর আগে ওই নারী নীলফামারী সদর থানায় পাপনের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতন, ভয়ভীতি এবং হত্যার চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পাপনকে আটক করে নীলফামারী সদর থানায় হাজির করেন এবং শুক্রবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে পাপনকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
এদিকে গত কয়েকদিন ধরে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি অভিজিৎ সর্বঞ্জ পাপনের বিয়ে দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নানা রকম লেখালেখি এবং ওই নারীর সাথে অঙ্গ ভঙ্গিমার বিভিন্ন ছবি পোস্ট করা নিয়ে ফেসবুকে ঝড় বইছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী জানায় সে ওই মেয়েকে বিয়ে করবে বলে সে আমার দোকান থেকে শাখা কিনে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী সেই নারী বলেন, পাপনের সাথে ২০১৩ সালে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ২০১৪ সালে পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার বদেশ্বরী মন্দিরে হিন্দু ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে আমরা বিয়ে করি।
বিয়ের পরেও সে আমাকে বলে এখন কাউকে জানাইও না । আমার মায়ের হার্টের সমস্যা, আমি আমার মা’কে আস্তে আস্তে ম্যানেজ করে তোমাকে বাড়ী নিয়ে যাবো। এখন তুমি ভাড়া বাড়িতে থাকো। আমি যখন সাহাপাড়া নারু সাহা নামে এক লোকের বাড়িতে ভাড়া ছিলাম।
তিনি আরও বলেন, তারপর আমরা ডোমার ও নীলফামারী শহরের বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি ভাড়া করে সংসার করে আসছিলাম। গত একমাস থেকে পাপন আমার সঙ্গে দেখাও করে না। খোঁজ খবর রাখে না। এমনকি আমার মোবাইল ফোনও রিসিভ করে না।
এখন সে আমাকে স্ত্রী বলে স্বীকার করছেনা। আমি যেখানে ভাড়া থাকি। সেখানে গিয়ে জিজ্ঞেস করলে বুঝতে পারবেন আমার স্বামীকে। আমাকে খারাপ বানানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেছে। আমার তিন মাসের পেটের বাচ্চা নষ্ট করে দিয়েছে। আজ আমি তার বাড়িতে অবস্থান নিয়েছি স্ত্রীর মর্যাদা পেতে। সে আমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমি স্ত্রীর মর্যাদা চাই।
এবিষয়ে জানতে চাইলে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি অভিজিৎ সর্বোঞ্জ পাপন বলেন, তার তিনটা স্বামী, সে বিভিন্ন জায়গায় মানুষকে ব্লাকমেইল করে টাকা খায়। আমার কাছে প্রতারণা করে টাকা চায়।
এবিষয়ে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার জানায় বৃহস্পতিবার ওই নারীর অভিযোগ পেয়ে ডোমার থেকে অভিজিৎ সর্বঞ্জ পাপনকে আটক করা হয়। শুক্রবার মামলা দায়েরের পর বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এবিষয়ে জেলা আদালত পুলিশের উপ-পরিদর্শক প্রদীপ কুমার বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে অভিজিৎ সর্বঞ্জ পাপনকে জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক পাপনকে জেলা কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন।
Leave a Reply