নওগাঁয় শত্রুতার জের ধরে বাড়ীর সিমানা প্রাচীর ও মেইন গেট ভাংচুর করে প্রায় লক্ষাধিক টাকা ক্ষতিসাধনের ঘটনায় ২৭ জনের বিরুদ্ধে নওগাঁ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
গত ২১জানুয়ারী সন্ধ্যায় লিখিত অভিযোগটি করেন নওগাঁ সদর উপজেলার চকবাড়িয়া এলাকার ইদ্রিস আলী মন্ডলের মেয়ে লায়লা আরজুমান্দ। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়ে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় ২০ জানুয়ারী সকাল ৯টার সময় একই এলাকার মৃত বছিরের ছেলে মহাতাব(৫০), মৃত কছিম উদ্দীনের ছেলে হাসান(৪৫), মৃত ছাত্তারের ছেলে মান্নান(৫৫), হান্নানের ছেলে আলো(২৫), খলিলের ছেলে মিঠুনসহ ২৭জনের একটি সঙ্ঘবদ্ধ দল পূর্ব দ্বন্দ্বের জেরে হাতে কোদাল, লোহার শাবোল, দা, কুড়াল, বড় হাতুড়িসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে লায়লা আরজুমান্দের বসত বাড়ীতে হামলা চালায়।
এসময় হামলাকারীরা বাড়ীর সিমানা প্রাচীর, মেইন গেট ও জানালা ভাংচুর করে। লায়লা আরজুমান্দ বাধা দিলে তার কাছে থাকা একটি টার্চ মোবাইল ভাংচুর করে ও তাতে মারধর করে। এরপর একজন আসামী শাবোল দিয়ে মাথায় আঘাত করলে লায়লা গুরতর আহত হন। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠান।
এব্যাপারে ভুক্তভোগী লায়লা আরজুমান্দ জানান, আমি একজন স্বামী পরিত্যাক্ত নারী। আমার অসহায়ত্বের সুযোগে আসামীগণ বসতবাড়ীতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করেছে এবং মারপিট করে আমাকে আহত করে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করছি।
এব্যপারে অভিযুক্ত হাসান জানান,আমি ওই ঘটনায় উপস্থিত ছিলাম না।
নওগাঁ মডেল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরে আলম সিদ্দিকী জানান, এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply