সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দাদি ফুফু সহ আহত ৪ জন। এবং বাড়ি ঘর ভাঙচুর করেছে প্রতিপক্ষ।
তাহিরপুরে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আপন ফুফু ও দাদিসহ ৪ জন গুরুতর আহত ও বাড়িঘর ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে।
ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে এবং ঘরের আলমারিতে থাকা ৫০ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সৌদি প্রবাসী রোকন উদ্দিন (৩০) এর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
গুরুতর আহত বৃদ্ধা ছকিনা খাতুন ও তারা বানুকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাহিরপুর উপজেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে অন্য আহতদের প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
অন্য আহতরা হলেন, একই গ্রামের সখিনার ছেলে বউ রমিজা বেগম(২৬) ও ববিতা বেগম(৩০)।
অভিযুক্ত রোকন উদ্দিন(২৩) একই গ্রামের হাছেন আলীর ছেলে ও মৃত শরিফ মিয়ার ছেলে মজলু মিয়া(৫৫)।
এ ঘটনাটি ঘটেছে আজ ( ৫ মে শুক্রবার) দুপুরে উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের খাসতাল গ্রামে।
এ ঘটনায় আজ সন্ধ্যায় আহত বৃদ্ধা ছকিনা খাতুন বাদি হয়ে খাসতাল গ্রামের মৃত শরিফ মিয়ার ছেলে মজলু মিয়া (৫৫) একই গ্রামের হাসান আলীর ছেলে রোকন উদ্দিন (২৩) তার ভাই রাকাব উদ্দিন (১৯) তার মা জয়তারর নাম উল্লেখ করে ও ৫/৬ জন অজ্ঞাত করে তাহিরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও থানায় অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, খাসতাল গ্রামের রোকন উদ্দিন ও ছকিনা খাতুনের পরিবারের লোকজনের মধ্যে বাড়ির জায়গায় জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধী চলে আসছিল।
গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শালিসাগণ রোকন উদ্দিনকে অনুমতি দেয়ার পর ছকিনা খাতুনের জায়গা দিয়ে বেশ কয়েক বছর রোকন উদ্দিন ও তার পরিবারের লোকজন বাড়িতে যাওয়া আসা করে ।
এরই মধ্যে কিন্তু কিছুদিন পূর্বে রোকন উদ্দিন প্রবাস থেকে বাড়িতে আসে। বৈশাখ মাস থাকায় ছকিনার স্বামী ও ছেলেরা ধান কাটার জন্য অন্যত্র ছেলে যাওয়ায় আজ শুক্রবার দুপুরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে রোকন উদ্দিন জোরপূর্বক ওই জায়গায় ইট দিয়ে দেয়াল নির্মাণ করতে চাইলে তাতে বাঁধা দেয় ছকিনা।
এ সময় উত্তেজিত হয়ে রোকন উদ্দিন ও তার চাচা মজলু মিয়া, ভাই লাক মিয়া ও তার মা জয়তারা বেগম দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ ও রড, বাঁশের লাঠি নিয়ে ছকিনার বসত বাড়িতে হামলা করে পিটিয়ে ও ছকিনার ডান হাতে রড় দিয়ে ঘা দিয়ে ও কাঠের রুল দিয়ে পিটিয়ে হাত ভেঙে গুরুতর আহত করে।
এ সময় ছকিনার চিৎকারে তার বৃদ্ধ মা তারা বানু, ছেলে রমিজা বেগম ও ববিতা বেগম এগিয়ে আসলে তাদের কেউ পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে তাহিরপুর থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত পূর্ব ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply