কুড়িগ্রামে রাজারহাটে নবাগত ইউএনও’র হস্তক্ষেপে এতিম দুই মেয়ের ঠাঁই হলো বাবার বাড়িতে।
রাজারহাটে নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাবেরী রায়ের হস্তক্ষেপে বাবার বাড়িতে ঠাঁই হলো দুই এতিম মেয়ের।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দেবীচরণ গ্রামে ঘটনার নিস্পত্তি করেন ইউএনও। বাপের ভিটা পেয়ে আনন্দিত দুই বোনসহ এলাকাবাসী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই গ্রামের একরামুল হকের দুই মেয়ে রেখা বেগম (২০) ও রেবেকা আক্তার আইভি (১৫)। তাদের বাবা গত ৯ বছর আগে মারা যায়। কিছু দিন পর তাদের মা আফরোজা বেগম ও দ্বিতীয় বিয়ে করে নতুন স্বামীর বাড়িতে চলে যায়। এতিম হয়ে পড়েন দু’বোন।
নানার বাড়িতেই রেবেকার বিয়ে হয় গত ৩ মাস আগে একই উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের কালীর মেলার চতুরা গ্রামে। বিয়ের পর তিস্তা নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে ভেঙে যায় স্বামীর ভিটেমাটি। নিরুপায় হয়ে অন্যের জায়গা দু-বছরের জন্য বসবাস শুরু করেন রেবেকা।
আরও জানা গেছে, চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর’স্বামী ও বোনের পরামর্শে বাবার বাড়িতে চলে আসে দু’বোন। কিন্তু তার চাচা ইয়াকুব আলী, আইয়ুব আলী সহ তার চাচাতো ভাই বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি তাদেরকে। পরে অন্যের বাড়িতে থেকে স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তি ও থানার শরণাপন্ন হয় দু’বোন।
নবাগত রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাবেরী রায় বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বুধবার (২০সেপ্টেম্বর) সকালে উভয় পক্ষকে তার কার্যালয়ে নোটিশ দিয়ে উপস্থিত হওয়ার আহবান জানান। ওই সময় এতিম দু’বোন, ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রেসক্লাব সভাপতি উপস্থিত হলেও প্রভাবশালী এতিমের চাচারা উপস্থিত হননি।
ফলে বুধবার বিকেলে রাজারহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী, ভাইস চেয়ারম্যান আশিকুল ইসলাম মন্ডল সাবু, নবাগত ইউএনও কাবেরী রায়, ওসি আব্দুল্লাহিল জামান ঘটনা স্থলে গিয়ে এতিম দু’বোনকে তার বাবার বাড়িতে তুলে দেন। এসময় উপজেলা পরিষদ থেকে তাদের জন্য শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।
সেই সাথে যারা এসে আমাদের দু’বোনকে এতো বড় সহযোগীতা করলো তাদেরকেও কোন দিন ভূলতে পারবো না।
রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাবেরী রায় বলেন, সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় বিষয়টি অবগত হয়ে আজ সকলে মিলে এতিম দু’বোনকে তার বাবার বাড়িতে তুলে দিতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা তো কাজ করতে পছন্দ করি। প্রশাসন তো জনসেবার জন্য নিয়জিত। আপনারা এরকম তথ্য দিলে আমাদের কাজ করতে সুবিধা হয়।
Leave a Reply