ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলায় অতিদরিদ্রের তালিকায় কোটিপতির নাম ।অতিদরিদ্র কর্মসূচির তালিকায় উচ্চবিত্তশালীদের নাম তালিকায় আসার অভিযোগ উঠেছে।এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অতিদরিদ্র কর্মসূচির কাজের নামের তালিকা সঠিক ভাবে তদারকি না করায় উচ্চবিত্তশালীদের নাম সংযোজন হয়েছে।
লেহেম্বা ইউনিয়নে ৬ নং ওয়ার্ডে রাস্তায় কয়েকজন লোক মাটির কাজ করছে।বুধবার (৭ডিসেম্বর) লেবার সর্দার সাবেক ইউপি সদস্য বেলাল হোসেনের সাথে কথা হয়, তিনি বলেন আমার নাম এ তালিকায় নেই আনছারুল হোসেনের পরিবর্তে আমি দ্বায়িত্ব পালন করছি।
তাছাড়াও অনেক লোক কাজ না করেই সরকারি টাকা খাচ্ছে।তালিকা ঘেটে আরো দেখা যায়, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সইদুল ইসলাম তার কোটিপতি ভাগিনা রনি হোসেনের নামে অতিদরিদ্র কর্মসূচির তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে।
রনি হোসেনের বাবা আনসারুলের জানায়, আমার একমাত্র ছেলে রণি সে শিক্ষাগত যোগ্যতায় মাস্টাস পাশ। আমাদের ২০ বিঘার অধিক জমি রয়েছে, বাড়িতে মোটামুটি বাড়িঘর পাকা করেছি।
পড়ুন >> বাংলাদেশে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সমর্থকদের উত্তেজনা তেমনি বাংলাদেশে রফতানি নিয়ে ওদের উত্তেজনা
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সইদুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রনি আমার ভাগিনা। আমি তার নাম তালিকায় দিয়েছি।
সে অতিদরিদ্রের কার্ড পাওয়ার যোগ্য কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, সবাই এ রকম বিত্তশালীদের নাম দিয়েছে আমিও দিয়েছি।
পড়ুন>> পাইকগাছায় পাখি শিকারীকে ৭ দিনের কারাদণ্ড প্রদান ভ্রাম্যমাণ আদালতের
এ প্রসঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সামিয়্যেল মাড্ডি বলেন, কোটিপতিদের নাম যদি থেকে থাকে তার নাম বাদ দেওয়া হবে। তাছাড়া আমাদের তদারকি (সহকারি প্রকৌশলী) কর্মকর্তা নেই ।
রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুরকার নাইন কবির স্টিভ বলেন, এ রকম নাম যদি থেকে থাকে তবে সংশ্লিষ্ঠ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যকে তলব করা হবে।
পড়ুন>> ফাল্গুন মাসের কৃষি কাজ
এছাড়া তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া হবে, তারপরে টাকা ফেরৎ নেয়ার আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply