কুড়িগ্রামের উলিপুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটলেন প্রধান শিক্ষক। প্রধান শিক্ষকের কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই এ সব গাছ কটেন।
জানা গেছে বুধবার (৩০ নভেম্বর) উপজেলার জুম্মাহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরের গাছ কাটা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
গত বুধবার দুপুরে জুম্মাহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে গিয়ে দেখা গেছে , বিদ্যালয়ের গেট সংলগ্ন একটি পুরাতন শিশু কাঠগাছ দুইজন শ্রমিকের
মাধ্যমে কাটা (কর্তন) হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের এলাকাবাসী জানান ,এর আগেও কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ২০২১ সালে একটি কাঁঠাল ও একটি রেইন ট্রি গাছ কাটেন প্রধান শিক্ষক। প্রধান শিক্ষক এভাবে বিদ্যালয়ের গাছ কাটায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, ওই প্রধান শিক্ষকের স্বামী জাহাঙ্গীর আলম বর্তমানে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি।তাই
ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে প্রধান শিক্ষক নিজের ইচ্ছামত এস করেন। বর্তমানে কাটি গাছটির দাম প্রায় ১৫ (পনেরো) হাজার টাকা।
এ বিষয়ে জুম্মাহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ আখতার জাহান গাছ কর্তনের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয়ের গেট নির্মাণের
কারণে গাছটি কাটা হয়েছে। পরে গাছটি নিলামের বিক্রয় করা হবে।
এছাড়া গাছ কাটার ব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি রেজুলেশন রয়েছে। এ সময় রেজুলেশন দেখতে চাইলে তিনি বলেন, রেজুলেশন খাতাটি বাড়িতে আছে। জীবিত গাছ কাটার ব্যাপারে বন বিভাগের অনুমতি নেয়া আছে কি না জানতে চাইলে সে বিষয়ে উত্তর দেননি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ মোঃ তারিকুল ইসলাম জানান, ওই বিদ্যালয়ের গাছ কাটা সম্পর্কে আমি কিছু জানিনা। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি গাছ কাটার অনুমোদন দিতে পারে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আলাদা
কমিটি রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করতে হবে। এরপর নির্ধারিত কমিটি সরেজমিন তদন্ত করে বিষয়টির সিদ্ধান্ত নিবেন।
[…] পড়ুন>>উলিপুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটল… […]