সুনামগঞ্জ জেলাধীন তাহিরপুর উপজেলায় ভারতীয় চোরাই কয়লা বোঝাই নৌকাসহ তিন কয়লা চোরাকারবারিকে আটক করেছে তাহিরপুর থানা পুলিশ।
পড়ুন>>পতাকা উঠানো থাকলেও নোটিশ ছাড়াই সারাদিন তালাবন্ধ স্কুল
গতকাল ৭ অক্টোবর সোমবার দিবাগত রাত ১.৩০ মিনিটের সময় উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকের পাটলাই নদীতে আলী নূরের বসত বাড়ির ঘাটে অভিযান চালিয়ে ২৮ মেট্রিকটন ভারতীয় চোরাই কয়লা বোঝাই ১টি ইঞ্জিন চালিত স্টিল বডি নৌকাসহ তাদেরকে আটক করা হয়।
পড়ুন>>আকাশ নজরদারিতে পুরোপুরি সক্রিয় বাংলাদেশ: থাকছে আর বাংলার আকাশে ভারতীয় নজরদারী
এ বিষয়ে মঙ্গলবার দুপুরে ট্যাকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই কামাল হোসেন বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাহিরপুর থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখপূর্বক ও ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত রেখে একটি মামলা দায়ের করেন।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সংঘবদ্ধ একটি চোরাকারবারি সিন্ডিকেট তাহিরপুর উপজেলার ট্যাকেরঘাট, লাকমা, চারাগাওঁ, কলাগাওঁ ও বাগলী সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে রাতের আধাঁরে চোরাচালানের মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারতীয় কয়লা বাংলাদেশে নিয়ে এসে বিভিন্ন বাড়িঘরে মজুদ রাখে।
পরবর্তীতে সময় সুযোগ বোঝে ওই কয়লা চোরাকারবারি সিন্ডিকেট চক্রটি রাতের আধাঁরে নৌকা যোগে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করিয়া আসিতেছে।
এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাই কয়লা বোঝাই নৌকা রেখে পালানোর চেষ্টা কালে চোরাকারবারি আলী নূর (৫৪), এংরাজুল (৫৫) ও তার ছেলে পলক প্রকাশ বাবুসহ ১০ লাখ টাকা মূল্যের একটি স্টিলবড়ি নৌকা আটক ও নৌকায় থাকা ২৮ মেট্রিক টন ভারতীয় চোরাই কয়লা আটক করে পুলিশ। যার মূল্য ২ লাখ ৮০ টাকা।
এর সত্যতা নিশ্চিত করে তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, আটককৃতসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত রেখে পুলিশ বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এবং আটককৃতদের কোর্ট হাজতের মাধ্যমে জেল কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
Leave a Reply